এম ইসলাম দিলদার,রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শনিবার(৪ জুলাই) সকালে
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা দু’টি ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন মিটার’ (অপটিক ফ্লো নেজাল হাই ফ্লো অক্সি থেরাপি মেশিন) মেশিন দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দেওয়া মেশিন দুটি তার পক্ষে মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার এই মেশিন দুইটি হস্তান্তর করেন।
থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
রামেক হাসপাতালে এই হাই ফ্লো অক্সিজেন মিটার এতদিন ছিলো না। তবে মুমূর্ষু রোগীর জন্য হাসপাতালটির আইসিইউতে (নিবিড় পরচির্যা কেন্দ্র) বর্তমানে ১৫টি ভেন্টিলেটর ও বেড রয়েছ। যা চাহিদার তুলনায় কম জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই দুইটি ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন’ মেশিন এখন থেকে মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আইসিইউ এর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
যাদের করোনায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাদের বাঁচাতে বিশ্বের উন্নত দেশে এখন ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন’ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। রামেক হাসপাতালে মেশিন দুইটি স্থাপন করা হলে করোনা আক্রান্ত মানুষ দ্রুত অক্সিজেন সেবার আওতায় আসতে পারবে। এতে মৃত্যুর হারও কমবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের মতো রামেক হাসপাতালেও অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে।
হাসপাতালে থাকা স্বল্পসংখ্যক ভেন্টিলেটর সুবিধার প্রাথমিক বিকল্প হিসেবে ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন মিটার’ এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে রোগীকে তার চাহিদা অনুপাতে অক্সিজেনের মাত্রা কম বা বেশি পরিমাণে সরবরাহ করা সম্ভব। যা তার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করছে।
দেশের সংকটকালে সেই ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন মিটার’ দিয়ে করোনারোগীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। তার পক্ষ থেকে দুইটি হাই ফ্লো অক্সিজেন মিটার মেশিন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় রাজশাহীর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বিকে দাম, উপ-অধ্যক্ষ ডা. সুজিত কুমার ভদ্র, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলী উস্থিতি ছিলেন।
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পক্ষ থেকে রামেক হাসপাতাল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে এবং চারঘাট -বাঘায়
স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়া হয়। এগুলো মধ্যে ছিলো- পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।